যুব দর্পণ প্রতিবেদন, শিলচর, ২১ ফেব্রুয়ারি: গত ১৮ ফেব্রুয়ারী, শুক্রবার, হাইলাকান্দি আশ্রম রোডে প্রয়াত কবি ব্রজেন্দ্র কুমার সিনহার নিজ বাসভবনে প্রয়াতা লতা মঙ্গেশকর জী, গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখার্জী এবং অকাল প্রয়াত বাপ্পী লাহিড়ীর শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন জেলার অনেক শিল্পী তথা সমাজ সেবীরা।
সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া জমজমাট এই অনুষ্ঠান চলতে থাকে গভীর রাত অব্দি। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি এই তিন শিল্পীর সামনে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে যৌথ ভাবে বাগিশ্বরী সিনহা, স্বপ্ননীল ভট্টাচার্য, দিশানি দাস, রাই চক্রবর্তী, প্রাপ্তি দাস।
এরপর একে একে পুষ্পাঞ্জলী প্রদান করেন ড: সুমনা ভট্টাচার্য্য, শম্পা দাস, শতানন্দ ভট্টাচার্য, হোপ ফর জেম্স সোসাইটির সভাপতি স্বপ্নদ্বীপ সেন, ব্যবসায়ী তথা প্রাক্তন পৌরোকমিশনার সুব্রত ভট্টাচার্য, বিনতা সিনহা, বিশিষ্ঠ শিল্পী কিরীটি চক্রবর্তী, পৌরকর্মী স্নিগ্ধা ভট্টাচার্য সহ উপস্থিত শিল্পী তথা অতিথি বৃন্দ।
সংক্ষিপ্ত স্বাগত ভাষণ দেন একে একে শতানন্দ ভট্টাচার্য এবং মনিময় সিনহা। উনাদের ভাষণের মাঝে কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে সমাজসেবী গৌতম গুপ্তের কথা। মনিময় সিনহার বক্তব্যের মাঝে সদ্যপ্রয়াত এই তিন শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি, গৌতম গুপ্তের মাতা প্রয়াতা রত্না গুপ্তকে স্মরণ করে, শোকাহত গুপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
এরপর রুবণ চক্রবর্তীকে দিয়ে সূচনা হয় গানের পর্ব। একে একে সংগীত পরিবেশন করেন বাপ্পী লাহিড়ী কণ্ঠি বিপ্লব দাস, কিশোর কণ্ঠী শঙ্কু ভট্টাচার্য, আশা কন্ঠি সুদূর দিল্লী নিবাসী পম্পি ব্যানার্জী, শতানন্দ ভট্টাচার্য, নবীন শিল্পী আর্য়ান পাল, অর্পিতা দাস, বিভাশ যশওয়াল প্রমুখ।
অন্যান্য শিল্পীদের পাশাপাশি চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ড: সুমনা দাস ভট্টাচার্য ও সংগীত পরিবেশন করেন। ড: দাসের এই সুপ্ত প্রতিভা অনেকেরই মন জয় করে নেয়। অনুষ্ঠানের মাঝেই প্রীতিভোজের দায়িত্ব নেন বিনতা সিনহা। অনুষ্ঠানের শেষে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শতানন্দ ভট্টাচার্য।
সমবেত ভাবে “চলতে চলতে” গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা হয়। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সুচারু রূপে আয়োজন করার জন্য অন্যান্যদের পাশাপাশি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলেন মনি রী, নবনির্বাণা ব্যান্ড এর সহ কর্ণধার আর্য়ান পাল প্রমুখ।