যুব দর্পণ প্রতিবেদন, শিলচর, ১৭ মে: গত শুক্রবার, ১৩ ই মে, সুসম্পন্ন হলো হাইলাকান্দি উইমেন্স কলেজের বাংলা বিভাগের আয়োজিত আন্তর্জালিক বাংলা ছন্দ কর্মশালা। শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় অভিভূত আয়োজক মণ্ডলী। এ মর্মে কর্মশালার আহ্বায়ক অপরাজিতা দে জানান, ‘ত্রিদিবসীয় এই কর্মশালায় বরাক ও ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, গবেষক, অধ্যাপক প্রমুখের অংশগ্রহণ ও অনুসন্ধিৎসা প্রকৃত অর্থেই আমাদের সমৃদ্ধ করেছে।
শিক্ষার্থীদের অনুরোধে আমরা কর্মশালাকে আরও একদিন দীর্ঘায়িত করতে বাধ্য হয়েছি এবং এতে আমরা আনন্দিত। এরজন্য অবশ্য কৃতজ্ঞতা জানাতে হয় প্রশিক্ষক পৃথ্বীশ মজুমদারকে, তাঁর সহযোগিতা ছাড়া এই আয়োজন সম্পূর্ণতা পেত না।’ কর্মশালাটি শুরু হয় ১০ মে। কর্মশালার মুখ্য উপদেষ্টা আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতীয় ভাষা ও সংস্কৃতিচর্চা অধ্যয়ন অনুষদের প্রাক্তন অধ্যক্ষ, তথা বিশিষ্ট ভাষা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রমা ভট্টাচার্য।
তাঁর সুচিন্তিত পরামর্শ কর্মশালাটিকে স্বচ্ছন্দ গতি দান করেছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন কলেজ অধ্যক্ষ নন্দিনী দাস ধর সহ বিশিষ্ট অতিথি তথা কর্মশালার অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা কলকাতার ডায়মণ্ড হারবার উইমেন্স ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তথা বিশিষ্ট ভাষাতত্ত্ববিদ ড° শুভেন্দু জানা, হাইলাকান্দি এস.এস.কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড° প্রিয়ব্রত নাথ, কর্মশালার প্রশিক্ষক বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক পৃথ্বীশ মজুমদার ও কলেজের অন্যান্য অধ্যাপকবৃন্দ।
শ্রদ্ধেয় প্রশিক্ষক অত্যন্ত সুচারু রূপে ১০, ১১, ১২, ১৩ মে- চারদিন ব্যাপী বাংলা ছন্দের নিবিড় পাঠদান করেছন বলে জানা গেছে। প্রশ্নোত্তর ও তর্ক-বিতর্কের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের পাঠকে সম্পূর্ণ করে তুলতে অনেকটা সমর্থ হয়েছে। সমাপ্তি পর্বে শিক্ষার্থীদের বক্তব্যেই তা স্পষ্ট হয়েছে এবং ছাত্রমহল থেকে এই ধরণের ওয়ার্কশপ আয়োজনের অনুরোধ আয়োজকদের উৎসাহিত করেছে।
বাংলা ছন্দের খুঁটিনাটি বিষয়, যেখানে জটিলতাও রয়েছে অল্প-বিস্তর, সেরকম একটি বিষয় নির্বাচন করে একটু ঝুঁকি নিয়েই এই অনলাইন কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল এবং তা যে নবীন শিক্ষার্থীদের একাগ্রতায় ও প্রশিক্ষকের সাবলীল উপস্থাপনায় এতোটা সফল হয়ে উঠতে পারে, তা সত্যি বিস্ময়কর বলে জানিয়েছেন ত্রিদিবসীয় এই কর্মশালার সঞ্চালক তীর্থঙ্কর চক্রবর্তী।