নয়াদিল্লি, ২৯ জানুয়ারি :: ভারতে সবুজ বন্দর এবং জাহাজ পরিবহনের উন্নয়নের জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে পর্যালোচনা করতে আজ নতুন দিল্লিতে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে পৌরোহিত্য করেন কেন্দ্রীয় বন্দর জাহাজ পরিবহন এবং জলপথ তথা আয়ুস মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। বৈঠকে বন্দরের আধিকারিকরা বর্তমান পরিস্থিতি, গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য এবং ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলো নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বিস্তারিত জানান। সামুদ্রিক খন্ডের সমান্তরালভাবে ভারতের সবুজ বন্দরের উন্নয়নের জন্য এই বৈঠকে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যেগুলো আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংগঠনের (আইএম ও) ২০৩০ ডিকার্বনাইজেশন রণনীতি এবং ২০৫০ গ্রীন হাউজ গেজ (জিএইচজি) রণনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
নীল অর্থনীতি উদ্যোগের অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় বন্দরে জাহাজ পরিবহন এবং জলপথ মন্ত্রণালয় ভারতের লজিস্টিক পরিকাঠামো এবং জাহাজ পরিবহনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে বেশকিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ২০২১ সালের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রীর সূচনা করা মেরিটাইম ইন্ডিয়া ভিশন ২০৩০এর অধীনে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নবীকরণ যোগ্য শক্তি ৬০ শতাংশ বাড়ানো, ২০৩০ সালের মধ্যে বন্দর সৌরশক্তি প্রকল্প স্থাপন ইত্যাদি। এক্ষেত্রে একটি সবুজ বন্দর র্নীতি প্রস্তুত করা হচ্ছে।
উত্তর-পূর্বের জলপথ সংযোগের ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে মন্ত্রণালয়। এর ফলে এ পর্যন্ত মংলা ও চিটাগাং বন্দরে চলাচল যথেষ্ট সহজলভ্য হয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন সামগ্রী বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে। সরকার 2016 সালে বৃষ্টি জলপথ রাষ্ট্রীয় জলপথ হিসেবে ঘোষণা করেছিল। মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় জলপথ 2 (ব্রহ্মপুত্র) ও ১৬(বরাক)এর উপর কাজ শুরু করেছে। যার মাধ্যমে আসাম এর সঙ্গে সমগ্র উত্তর-পূর্বের অর্থনৈতিক অগ্রগতি জলপথের মাধ্যমে ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে।
দেশের সবুজ বন্দরের উন্নয়নের ক্ষেত্রে গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক মন্ত্রী সর্বানন্দর
Date: